‘রাষ্ট্র বনাম জাকারিয়া পিন্টু ও অন্যান্য’ মামলা: আগাম জামিনে আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গ
উচ্চ আদালত

ইউনাইটেডকে আপাতত ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে না

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আগুনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে আপাতত ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) আপিল বিভাগের ভার্চ্যুয়াল চেম্বার কোর্টের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা আবেদনটি আগামী ১৬ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গতকাল সোমবার আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা আজ চেম্বার কোর্টে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ, তানজিব উল আলম ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী অনীক আর হক, হাসান এম এস আজীম, মুনতাসির আহমেদ ও নিয়াজ মোহাম্মদ মাহাবুব।

পরে আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ১৫ জুলাই হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদনটি করা হয়। চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন। আবেদনটি ১৬ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলে ইউনাইটেড হাসপাতালকে আপাতত ৩০ লাখ টাকা করে দিতে হচ্ছে না।

গত ২৭ মে হাসপাতালটির মূল ভবনের বাইরে আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লেগে লাইফ সাপোর্টে থাকা পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়। তাঁরা হলেন রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভারনন অ্যান্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহাবুব (৫০)।

আগুনে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পৃথক রিট করেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৫ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আপাতত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা করে দিতে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ১৫ দিনের মধ্যে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ওই অর্থ দিতে বলা হয়।