আইনমন্ত্রীর বাসার সামনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের অবস্থান কর্মসূচি

সনদের দাবিতে আইনমন্ত্রীর বাসার সামনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের অবস্থান

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আইনমন্ত্রীর বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

প্রতীকী অনশনের ১৩৬ তম দিনে আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) প্রথমে শাহবাগে এরপর বনানীতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বাসার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

বার কাউন্সিলের ২০১৭ এবং ২০২০ সালে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষানবিশ আইনজীবী উপস্থিত রয়েছেন।

কর্মসূচি পালনকারীরা জানান, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর মাঝে এমসিকিউ উত্তীর্ণ প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেও বার কাউন্সিল ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর পর এমসিকিউ পরীক্ষা হলেও লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা না নেওয়ায় আমরা বেকার দিনযাপন করছি।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাই করোনা বিবেচনায় আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করতে হবে। একইসঙ্গে ভাইভার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষানবিশদের আইনজীবী সনদ প্রদান করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১৩৫ দিনের প্রতীকী অনশন পালন করেন। কিন্তু এরপরও কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা মশাল মিছিল করেন। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে এসব শিক্ষানবিশ আইনজীবী তাদের দাবি আদায়ে শাহবাগে অবস্থান নেন। এরপর তারা বনানীতে গিয়ে আইনমন্ত্রীর বাসার সামনে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইতোমধ্যে আমাদের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন এমসিকিউ উত্তীর্ণ সহপাঠীর কেউ স্ট্রোক করে, কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে আইনজীবী হওয়ার স্বপ্নপূরণের পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষানবিশ আইনজীবী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের অধিকাংশ এলাকা বন্যা প্লাবিত হওয়ায় আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

তাই মহামারির এই চরম সংকটের মুহূর্তে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ বিবেচনায়, আমরা যারা প্রায় ৯০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ১২ হাজার ৮৭৮ জন এমসিকিউ পরীক্ষায় উতীর্ণ হয়েছি, তাদেরকে লিখিত পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই পূর্বক অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে সবিনয় অনুরোধ করছি।