দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের জন্য নিজস্ব পরিবহণ সুবিধা চালুর দাবী জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আইনজীবীদের পক্ষে সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের কাছে সোমবার (২২ নভেম্বর) এ আবেদন জমা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজিজুল হক।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আজিজুল হক ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘আইনজীবীদের স্বাক্ষর সংযুক্ত আবেদনপত্র সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্মানিত সম্পাদক সাহেবের কাছে জমা দিয়েছি। তিনি আমাদের এ দাবী বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
আবেদনে যা বলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অধিকাংশ সদস্য ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করেন। ঢাকায় পরিবহণ সংকট থাকায়, ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণে যাতায়াতের ফলে আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘন্টা ও কর্মস্পৃহা নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে সার্বিক পেশাগত সম্মান। পূর্বে এ সমস্যা ততটা অনুভূত হয়নি এখন যতটা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বারের সদস্য সংখ্যা বাড়লে এ সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে।
দেশে ছোট-বড় প্রায় সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে প্রায় দশ হাজার সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ বিশাল সমিতির কোন নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা নেই।
অনেক আইনজীবীর ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। কিন্তু যানজট ও পার্কিং সংকটের এ শহরে ব্যক্তিগত গাড়িকে উৎসাহিত করা উচিত হবে না। এমতাবস্থায় সমিতি চাইলে এ বিশাল সংখ্যক আইনজীবীর দুর্দশা লাঘবে নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করতে পারে। এ প্রেক্ষিতে নিজস্ব ক্রয়কৃত গাড়ি বা বিআরটিসি এসি বাস কিংবা স্পন্সরের বন্দোবস্ত করে অথবা অন্য কোন সুবিধাজনক মাধ্যমে নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করতে পারে। এক্ষেত্রে সমিতির সক্ষমতা আছে।
ঢাকা শহরের ভিন্ন ৭টি রুটে পরিবহণ সুবিধা চালু করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে আবেদনে। রুটগুলো হল নিম্নরূপ-
- গাবতলী থেকে শুক্রাবাদ হয়ে হাইকোর্ট
- মিরপুর-১২ থেকে ফার্মগেট হয়ে হাইকোর্ট
- উত্তরা থেকে মহাখালী হয়ে হাইকোর্ট
- পানগাঁওপোর্ট থেকে হাসনাবাদ ও ধোলাইখাল হয়ে হাইকোর্ট
- গুলশান থেকে বাড্ডা ও মালিবাগ হয়ে হাইকোর্ট
- সাইনবোর্ড থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে হাইকোর্ট এবং
- মিরপুর-১ থেকে মোহাম্মদপুর ও নিউমার্কেট হয়ে হাইকোর্ট।
এই সাত রুটে অন্তত ১৪টি বাস চালু করা অপরিহার্য বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, পরিবহণ সুবিধা বন্দোবস্ত করতে আইনজীবীদের মতামত জানতে সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সম্মতি স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। বেশিরভাগ আইনজীবী এ বিষয়ে একমত হওয়ায় তা দরখাস্ত আকারে সমিতির সম্পাদক বরাবর জমা দেওয়া হয়।