দুর্নীতির দায়ে সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজের ৭ বছরের কারাদণ্ড

দুর্নীতির দায়ে সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজের ৭ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নূর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বগুড়া জেলার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকার সম্পদ জব্দ করারও আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার পর পরই সাবেক এমপি নূর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবৈধভাবে ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকার সম্পদ অর্জনের দায়ে আদালত নূর আফরোজ বেগম জ্যোতিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২৮ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তাকে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে বিচারক বলেন, “দুর্নীতি দমন আইনের ২৬ এর (২) ধারায় আসামিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করা হলো। আর ২৭ এর (১) ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। একই সঙ্গে এই ধারায় তাকে ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।”

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নূর আফরোজ বেগম জ্যোতির নামে অবৈধভাবে ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৭৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ২৮ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালে মামলা দায়ের করা হয়।

দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদের করা ওই মামলাটির তদন্ত করেন একই সংস্থার তৎকালীন উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক। তদন্ত শেষে দুদক বগুড়া কার্যালয়ের তৎকালীন কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা। তিনি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। বর্তমানে জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।