সোহাগী জাহান তনু - ফাইল ছবি

তনুর পরিবারের ৫ সদস্যকে সিআইডি কার্যালয়ে তলব

বহুল আলোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ২০ মাস পূর্ণ হয়েছে গত সোমবার। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়ে তনুর ঘাতকরা অধরাই রয়ে গেছে।

এদিকে আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) ঢাকাস্থ সিআইডি কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য তনুর বাবা-মাসহ পরিবারের ৫ সদস্যকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম। তবে তনুর ঘাতকরা আজও চিহ্নিত না হওয়ায় হতাশ পরিবারের লোকজনসহ স্বজনরা।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম সেলফোনে জানান, গত সোমবার (২০ নভেম্বর) কুমিল্লা সিআইডি অফিস থেকে একটি আমাদের নিকট একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে আমাকে (তনুর মা), আমার স্বামী (তনুর বাবা), দুই ছেলে ও লাইজুকে (তনুর চাচাতো বোন) নিয়ে ঢাকা সিআইডি অফিসে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মেয়ে হত্যার বিচারের আশায় আমরা যাব।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আর কতো জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি। আমি শুরুতে যাদের নাম বলেছি, বারবার একই কথাই বলে আসছি, যাদেরকে ধরতে বলেছি তাদের ধরলেই সব কিছু খোলাসা হয়ে যাবে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, তনু হত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করতে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছ। তবে তনুর পরিবার ঢাকায় যাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

কিন্তু দীর্ঘ ২০ মাসেও তনু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত কিংবা গ্রেপ্তার করতে না পারা, সামরিক-বেসামরিক অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা, এমনকি ডিএনএ পরীক্ষায় ৩ ধর্ষণকারীর শুক্রাণু পেলেও এ পর্যন্ত ডিএনএ ম্যাচ করে ঘাতকদের সনাক্ত করতে না পারায় মেয়ে হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে তনুর পরিবারসহ সচেতন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।

 

জেলা প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম