চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাপ্পী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি ও তাঁর কথিত স্ত্রী রাশেদা বেগমসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানিয়েছেন, সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাশেদা ও হুমায়ূন নামে দুজনকে কুমিল্লা থেকে আটক করা হয়েছে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে নগরীর ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো চারজনকে আটক করা হয়েছে, যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য আছে পিবিআই’র কাছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিবিআই’র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৬ জনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুরো টিমকেই ধরতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের পুরো রহস্যও উন্মোচন হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নারী খুনের কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হবে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে, নিহতের পিতা আলী আহমদ বাদী হয়ে ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে সহকর্মী আইনজীবীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার চট্টগ্রাম আদালতে দেড় ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন তাঁর সহকর্মীরা। তাঁরা নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করার দাবি জানান। এতে এক হাজারের বেশি আইনজীবী অংশ নেন। এছাড়া আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আজ সোমবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় একটি বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে টেপ লাগানো অবস্থায় এই আইনজীবীর মরদেহের উদ্ধার করা হয়। নগরীর চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডে বড় মিয়া মসজিদের সামনে একটি ভবনের নিচতলার বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
বাড়ির মালিক জানিয়েছেন এক নারী বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ওই নারী বাসায় উঠেন। তার নাম-ঠিকানা বাড়ির মালিক রাখেননি। গতকাল (শনিবার) ভোরে দারোয়ান দেখতে পান, বাসার দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে তিনি একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন পাচ্ছি না। শ্বাসরোধ করে খুন করা হতে পারে।
চট্টগ্রাম থেকে রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী/ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম