পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির দায়ও বিচারকদের দুর্নীতি হিসেবে বিবেচিত হবে

পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির দায়ও বিচারকদের দুর্নীতি হিসেবে বিবেচিত হবে। সোমবার প্রকাশিত বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেটের ২ অনুচ্ছেদের সংজ্ঞা অংশে এর উল্লেখ আছে।

গেজেটে দুর্নীতিতে জড়িত থাকা অর্থ কী সেই সংজ্ঞায় বলা আছে, ‘সার্ভিসের কোনও সদস্য বা তার পরিবারের সদস্য কর্তৃক তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এমন কোনও সম্পদ বা সম্পত্তির অধিকারী হওয়া যার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে তিনি অক্ষম। অথবা সার্ভিসের কোনও সদস্য বা তার পরিবারের সদস্যের এমন সংগতিহীন জীবন যাপন যা উক্ত সদস্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় কিংবা সার্ভিসের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি পরায়ণতার অব্যাহত কুখ্যাতি থাকা।’

পরিবারের সদস্যের আওতায় কারা পড়বে উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হয়েছে, সার্ভিস সদস্যদের সঙ্গে বসবাসকারী, তার স্বামী বা স্ত্রী এবং তার ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল সন্তান বা সৎ সন্তান এবং তার ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল তার নিজের বা স্ত্রীর বা স্বামীর অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন। তবে শর্ত থাকে যে, আইনগতভাবে বিচ্ছেদপ্রাপ্ত স্বামী বা স্ত্রী বা উক্ত সদস্যদের ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল নয় এমন স্বামী বা স্ত্রী বা যে সন্তান বা সৎ সন্তানের হেফাজতের দায়িত্ব আইনবলে হারিয়েছেন তারা পরিবারের সদস্য গণ্য হবেন না।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। গত বছরের ২৮ আগস্ট এই মামলার শুনানিতে আপিল বিভাগ জানান, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়।