চট্টগ্রামে গণহত্যা দিবসে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আইনজীবীদের পুষ্পমাল্য অর্পণ

আজ বুধবার ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসের ৩০ তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রধান ফটকে স্থাপিত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করেছেন আইনজীবীরা।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য ও চট্টগ্রাম বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রতন কুমার রায়, আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মনোনীত সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট উত্তম দত্ত সহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,ছাত্র লীগ, শ্রমিক লীগের থানা, ওয়ার্ড ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা পুস্পমাল্য অর্পন করেন।

এর আগে সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের এই দিনে স্বৈরাচার পতনের দাবিতে লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন আট দলীয় জোট নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা বানচাল করতে ক্ষমতাসীন এরশাদ সরকারের নির্দেশে পুলিশ নিরীহ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। তখন শেখ হাসিনার গাড়িবহর পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে পর্যন্ত পৌঁছায়। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন নেতৃবৃন্দসহ আট দলীয় জোটের নেতারা মানবঢাল তৈরি করে শেখ হাসিনাকে ‘মৃত্যুর দুয়ার’ থেকে আদালত ভবনে সমিতির কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা করলেও যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। এছাড়া, লাশ গুমের পাশাপাশি বলুয়ারদীঘি অভয়মিত্র মহাশ্মশানে বাছবিচার ছাড়াই কিছু লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জোটের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

রায়হান ওয়াজেদ/ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি