হাইকোর্টে পুলিশের কড়াকড়ি : সাধারণ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি

হাইকোর্টে প্রবেশে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ। এর ফলে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা।

দুদকের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল আটটা থেকেই এই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাড়িতে কিংবা পায়ে হেঁটে হাইকোর্টের মাজার গেট ও বার কাউন্সিল সংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশকালে পুলিশ প্রত্যেককে তল্লাশি করছে। পাশাপাশি প্রবেশকারীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগও তল্লাশি করছে পুলিশ।

সুপ্রিম কোর্টের এক কনিষ্ঠ আইনজীবী ফারজানা আহমেদ বলেন, সকালে হাইকোর্টের মাজার গেট দিয়ে প্রবেশকালে পুলিশ আটকে দেয়। পরিচয়পত্র না থাকায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে ভেতরে যেতে দেয়নি। পরে আমার সিনিয়রকে (জ্যেষ্ঠ আইনজীবী) ফোন করলে তিনি লোক পাঠিয়ে আমাকে ভেতরে প্রবেশ করান।

কয়েকজন বিচারপ্রার্থীও একই কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম বলেন, সকালে গেইট থেকে আমার কয়েকজন মক্কেল প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে আমি পরিচয় দিয়ে তাদের চেম্বারে নিয়ে আসি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার মো. আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল থেকে এখানকার নিরাপত্তায় আমরা দায়িত্ব পালন করছি। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা কাজ করছি। হাইকোর্টেরও কড়া নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে। আমরা সেক্ষেত্রেও সচেষ্ট আছি।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির একাধিক মামলায় বেশ কিছুদিন ধরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী জজ আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন বিএন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার গাড়িবহর ফেরার সময় সচিবালয় ও হাইকোর্ট এলাকায় বিএনপি কর্মীরা যোগ দিতে আসায় এসব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গতকালও খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেরার সময় বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটে। এসময় বেশ কয়েকজন বিএনপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তবে এদের কয়েকজনকে পুলিশ ভ্যান থেকে নিয়ে যায় দলের অন্য নেতা-কর্মীরা। এর পরই আজ হাইকোর্ট এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

আরও পড়ুন : হাইকোর্ট এলাকায় সাঁজোয়াযান-জলকামান-প্রিজনভ্যান, সতর্ক অবস্থানে পুলিশ