আনসার বিদ্রোহে অংশ নেওয়ার অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়াদের মধ্যে শারীরিকভাবে সক্ষম ৬৭৪ জন আনসার সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
তবে ৬৭৪ জনের মধ্যে যাদের চাকরির মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বা শারীরিক-মানসিকভাবে চাকরি করতে অক্ষম, তারা যতদিন চাকরিতে ছিলেন, তাদের ততদিনের পেনশন সুবিধা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দীন খান লার্জ ও অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসেন।
এর আগেও দুই দফায় হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ১ হাজার ৭৩৬ জন চাকরিচ্যুত আনসার সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। যা পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহে রূপ নেয়। এরপর সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর কিছু সংখ্যক আনসার সদস্য পালিয়ে যান। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে মামলার অভিযোগ থেকে আনসার সদস্যরা খালাস পান।
এরপর ২ হাজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৬ জন চাকরিচ্যুত আনসার সদস্য তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এরপর ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত রুল জারি করেন। সর্বশেষ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ওই রুলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে ৬৭৪ জন চাকরিচ্যুত আনসার সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।