দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের সার্টিফায়েড কপি আগামীকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
গত ১১ দিনেও (৮ ফেব্রুয়ারি থেকে) রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে না পাওয়ায় মামলার রায় প্রদানকারী বিচারকের আদালতে আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। পরে বিচারক আগামীকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেবেন বলে জানান।
আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পেশকার মোকাররম হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আজ (রোববার) রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। আদালত আগামীকাল (সোমবার) রায়ের কপি দেবেন বলে আইনজীবীদের বলেছেন।
এর আগে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠার কার্টিজ পেপার আদালতে জমা দেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড.আখতারুজ্জামান। এই মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালত বলেছেন, বয়স ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কম সাজা দেয়া হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। রায়ের পরই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।