রাজবাড়ীতে বাসের অপেক্ষায় থাকা এক নারী চিকিৎসক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর এলাকার এ ঘটনায় মামলা করেছেন চিকিৎসক ওই তরুণী।
শনিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তিনজনই অটোরিকশাচালক।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো- সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা, বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের মৃত মুন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার ও মৃত আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা।
র্যাব-৮ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে চিকিৎসক ওই তরুণী ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে মাদারীপুর যাচ্ছিলেন। পাটুরিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানজট থাকায় তিনি বাস থেকে নেমে লঞ্চে পদ্মা পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসেন। সেখান থেকে ফরিদপুর বা মাদারীপুরের সরাসরি কোনো বাস না পেয়ে একটি মাহেন্দ্র পরিবহনে গোয়ালন্দ মোড়ে যান।
সেখানে ফরিদপুরের কোনো বাস পাওয়া যাবে না বলে জানায় উপস্থিত কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক। অটোরিকশায় শিবরামপুর গেলে ফরিদপুরের বাস পাওয়ার কথা জানায় তারা। এ সময় ওই তরুণী চালকের কথায় বিশ্বাস করে অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় আরও দুই যুবক বসা ছিল। অটোরিকশাটি গোয়ালন্দ মোড়-শিবরামপুরের মাঝামাঝি এলাকায় যাওয়ার পর তারা সেটি থামিয়ে তরুণীর মুখ চেপে ধরে পাশের একটি ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, গ্রেফতার তিনজন ওই নারী চিকিৎসককে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তারা বিভিন্ন সময় চুরি, ছিনতাইও করে।
রাজবাড়ী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ওই নারী চিকিৎসক সদর থানায় মামলা করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।