আনসার বিদ্রোহ: খালাসপ্রাপ্তদের চাকরিতে পুনর্বহাল নিয়ে রায় ২ আগস্ট
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত

বিশেষ আইনের মামলার জামিন প্রশ্নে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের সুপারিশ

বিশেষ আইনের মামলার বিচার শুরুর আগে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কোনও আসামিকে জামিন দিতে পারে কি না এ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের সুপারিশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি মামলার যাবতীয় নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার (৪ এপ্রিল) এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার জামিনের বিরুদ্ধে জারি করা রুলের ওপর আদেশের সময় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ ওই সুপারিশ করেন।

আদালত বলেন, এ ধরনের মামলায় হাইকোর্টের বেশ কয়েকটি বেঞ্চ পৃথক পৃথক আদেশ দিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের একটি নজির আমরা পেয়েছি, সেখানে বলা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট জামিন দিতে পারে না। তবে আমাদের আপিল বিভাগের কোনও সিদ্ধান্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। যার কারণে বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে নিস্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

তবে ওই দুই ব্যাংক কর্মকর্তার জামিন প্রসঙ্গে আদালত কোনও আদেশ না দিয়ে বলেন, তাদের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে। আগে আইনি বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। অন্যদিকে, আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ ও শেখ বাহারুল ইসলাম।

পরে আইনজীবী আসাদুর রউফ বলেন, এ বি ব্যাংকের ওই দুই সাবেক কর্মকর্তার জামিন নিয়ে হাইকোর্ট কোনও আদেশ দেননি। সেহেতু তাদেরকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বহাল থাকছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জানুয়ারি এবি ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ১৬৫ কোটি টাকা (২ কোটি ২৫ হাজার ডলার) পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। সেই মামলায় একইদিন আসামি ওয়াহিদুল হক, আবু হেনা মোস্তাফা কামাল ও সাইফুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে গেলে আদালত সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে তাদের (ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তাফা কামাল) জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু একই মামলার অপর আসামি সাইফুল হককে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে ওই ঘটনাটি গত ৩১ জানুয়ারি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ওই দুই কর্মকর্তার জামিন বাতিলে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

সেই রুলের ওপর হাইকোর্টে দীর্ঘ শুনানি হয়। শুনানিকালে এবি ব্যাংকের সাবেক ওই দুই কর্মকর্তার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদেরকে জামিন দেওয়া ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এ মামলার নথিপত্র বিশেষ বার্তাপ্রেরকের মাধ্যমে দ্রুত হাইকোর্টে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এরপর দীর্ঘ সময় ধরে হাইকোর্টে রুলের শুনানি হয়। শুনানি শেষে মামলাটি বুধবার (৪ এপ্রিল) রায়ের দিন ধার্য রেখেছিলেন। কিন্তু আদালত আদেশ না দিয়ে উত্থাপিত আইনে প্রশ্ন নিষ্পত্তির জন্য সুপারিশ করেন। বাংলাট্রিবিউন