৮৯ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি

৫৬তম বারেও জমা পড়েনি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আবারও পেছালো। এ নিয়ে ৫৬তম ধার্য তারিখেও জমা পড়েনি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন।

আজ রোববার (২২ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য দিনে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৫ বছর ৩ মাসে ম্যাজিস্ট্রেট ৫৫ বার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে স্বশরীরে তলব করে মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন। দীর্ঘসূত্রিতায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে দ্রুত চার্জশিট দাখিলের তাগাদা দিয়েছেন। তবু মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন সাগর রুনি সাংবাদিক দম্পতি।

ঘটনার ৮ মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার থাকা ৫ আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে গ্রেফতার দেখিয়ে এ মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়।

এছাড়া ওইদিনই আরও দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকে গ্রেফতার এবং পরবর্তীতে অপর দারোয়ান আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করা ছাড়াও গত সোয়া ৫ বছরে মামলার তদন্তে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই।

তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতায় কয়েক আসামি ইতোমধ্যেই জামিন পেয়েছেন।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

এরপর সাগর-রুনির মরদেহ কবরস্থান থেকে তোলার আবেদন করে র‌্যাব। ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সাগর রুনির মরদেহ তোলা হয়।

এরপর ২০১২ সালের ৭ জুন থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জব্দ আলামতের সঙ্গে ম্যাচিং করার জন্য ৮ আসামি ও সন্দেহভাজন ২১আত্মীয়ের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। মূলত এরপরই মামলার তদন্তে স্থবিরতা নেমে আসে।