সারাদেশের ৭০টি বিহারী ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট ডিভিশন।
আজ বুধবার (৯ মে) হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এ স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।
গত ১ মার্চ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সভায় রেজুলেশন পাস করে ৭০টি বিহারী ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে ঢাকাসহ সারাদেশের ক্যাম্পগুলোর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের নোটিশ প্রদান করা হয়।
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এ নোটিশকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট ইউএসপিওয়াইআরএম’র সভাপতি মো. সাদাকাত খান ফাক্কু, সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলি বাবলু, প্রধান উপদেষ্টা আশরাফুল হক বাবু ও সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট খালিদ হুসাইন। দীর্ঘ দুইমাস শুনানি শেষে ৭০টি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নে ৩ মাসের জন্য স্থিতাবস্থা ও স্থগিতাদেশ দিয়ে কেন বিহারী ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন মানবাধিকার ব্যুরোর মহাসচিব অ্যাডভোকেট ড. শাহজাহান খান অ্যাড. হাফিজুর রহমান খান, অ্যাড. তাসলিমা ইয়াসমিন ও কাজী জহিরুল ইসলাম সুমন এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি আ্যটর্নি জেনারেল কাজী জিন্নাত হক।
শুনানি শেষে মানবাধিকার ব্যুরোর মহাসচিব অ্যাডভোকেট ড. শাহজাহান বলেন, এ আদেশের ফলে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ৭০টি বিহারী ক্যাম্পের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা আপাতত সম্ভব নয়।