শুভ্র সিনহা রায়: ফারজানা আক্তার (ছদ্মনাম)। বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত তিনি। বাবার একমাত্র মেয়ে। তাঁর আর কোনো ভাইবোন নেই। তবে তাঁর বাবার আরো চারটি ছোট ভাই আছেন। তাঁদের প্রত্যেকের ঘরে ছেলেমেয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতে ফারজানা আক্তারকে তাঁর অনেক সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধব বলেন, তিনি নাকি বাবার সম্পত্তি পুরোটা পাবেন না। এই সম্পত্তি তাঁর চাচাদের সঙ্গে ভাগ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আইনজীবীর কাছে যান তিনি। আইনজীবী পরামর্শ দিয়ে বলেন, যদি তাঁর বাবা জীবদ্দশায় মেয়েকে হেবা করে দেন, তাহলে পুরো সম্পত্তি পাবেন। কিন্তু ফারজানা হেবা কী, তা জানেন না। এ বিষয়ে তিনি আইনজীবীর কাছে হেবা কী, কীভাবে করতে হয়, তা জানার জন্য পরামর্শ চাইলেন। সেই পরামর্শ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
কোনো মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে কোনো বিনিময় ছাড়া কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করলে তাকে হেবা বলে। হেবা সম্পন্ন করার জন্য তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তার মধ্যে হেবার প্রস্তাব, গ্রহীতার সম্মতি এবং দখল হস্তান্তর। শুধু স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হেবা করা যায়।
একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তাঁর সমুদয় সম্পত্তি বা সম্পত্তির যেকোনো অংশ যে কাউকে হেবা করতে পারেন। সম্পত্তির আয় জীবনকালীন ভোগ করার অধিকার হেবা করা যায়।
লেখক : আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট।