‘ধর্ষণ মামলা সঠিকভাবে পরিচালনা করলে আসামি খালাস পাওয়ার সুযোগ নাই’

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় বেশির ভাগ আসামি খালাস পাওয়ার অভিযোগ করার আগে দেখতে হবে গলদ কোথায়।

আজ শনিবার (১২ মে) জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি আয়োজিত ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা…বিচার প্রার্থীগণের প্রত্যাশা ও জেল আপিল মামলা পরিচালনায় আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় সবার আগে মেডিকেল রিপোর্ট নিতে হবে। আর সঠিকভাবে মামলা পরিচালনা করলে আসামি খালাস পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’

সেমিনারে সভাপতির বক্তবে জেল আপিল ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় নিষ্পত্তি না হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পড়ে থাকে বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, যারা হতদরিদ্র তারাই জেল আপিল করেন। কিন্তু অনেক জেল আপিল ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সেগুলো তালিকাভুক্ত হয় না। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পড়ে থাকে। এসব জেল আপিল যাতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাঠানো হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। তা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আমাদের নিজ নিজ ভূমিকা পালন করা গেলেই এসব বিচারপ্রার্থীদেরকে আইনি সহায়তা দেয়া সম্ভব হবে।

বিচারপতি রহিম বলেন, গত ২ বছরে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি চার শতাধিক জেল আপিল নিষ্পত্তি করেছে। এটা নিষ্পত্তি করা সহজ বিষয় নয়। দেখা যাচ্ছে কোন মামলায় আসামির সাজা হয়েছে ৫ বছর কিন্তু জেল আপিল নিষ্পত্তির আগেই ওই সাজা ভোগ করে ফেলেছেন। এর কারন হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ জেল আপিল।

তিনি বলেন, আপিল করা হয়েছে কিন্তু তার সঙ্গে রায়ের কপি নেই। এ কারণে এসব আপিল শাখায় পড়ে থাকে। তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

বিচারপতি রহিম আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আইনে কী আছে সেটা বিচারপ্রার্থী জনগণ বুঝতে চায় না

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ইমান আলী। এছাড়া জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র জেল সুপার, আইনজীবীরা অংশ নিয়েছেন। সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।