ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
চিশতীর পক্ষে জামিন শুনানি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধীতা করেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
গত ১০ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবুল চিশতীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। চিশতী ছাড়া গ্রেফতার অন্যরা হলেন- চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান। রাজধানীর গুলশান থানায় দুদকের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
গ্রেফতারের পর ওইদিন বাবুল চিশতির ৫ দিন ও ১৯ এপ্রিল দুইদিন মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২৬ এপ্রিল বাবুল চিশতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।
এর আগে ফারমার্স ব্যাংকের জালিয়াতির ঘটনায় দুদক মাহবুবুল হক চিশতী এবং তার পরিবারের পাঁচ সদস্য, ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই তালিকায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন খান আলমগীরের নাম নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দু’জনের নৈতিক স্থলন ঘটেছে এবং তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া ফারমার্স ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন কর্মকর্তারা। আস্থার সংকট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। পরিচালকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তারা।