প্রতীকী ছবি

মানব পাচার: আইনজীবী দম্পতিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

মানব পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আইনজীবী দম্পতিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। এ মামলায় আগামী ১৮ জুলাই থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় ধার্য করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনের ৭ ও ৮ ধারায় অভিযোগ গঠন করে গতকাল বুধবার (৪ জুলাই) বিচার শুরুর এ আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আইনজীবী মো. জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার, ফজলুল কাদের, এনায়েতউল্লাহ ও রেজিয়া।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ জানান, অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আইনজীবী জামাল ও তার স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তাদের পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক নামঞ্জুর করেন। অন্য তিন আসামি উপস্থিত না থাকায় পলাতক ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রেজিয়া নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু উপজেলার কাউয়ার বিলে। তাকে বাংলাদেশী সাজিয়ে ও রেজিয়ার বদলে ‘আকতার বানু’ নামে সৌদি আরবে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে আইনজীবী মোহাম্মদ জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার, রেজিয়া এবং দুই দালাল ফজলুল কাদের ও এনায়েত উল্লাহকে আসামি করা হয়। এরপর জামাল ও ইয়াছমিন এবং কাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চট্টগ্রামের তৎকালীন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া আইনজীবী আসামির রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ আদেশের পর আদালতে ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। বিক্ষোভের মধ্যেই আরেকটি আদালতে শুনানি করে ওই আইনজীবী এবং তার স্ত্রীকে জামিন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের নয় আইনজীবীকে সতর্ক করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।