স্বল্প নোটিশে দীর্ঘ আট বছর ধরে ব্যবহৃত শ্রেণিকক্ষটি হস্তান্তর করায় শ্রেণিকক্ষ সংকটে পড়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আইন ও বিচার বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ব্যবহৃত ৩৪০ নং কক্ষটি স্বল্প নোটিশে গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুলাই) নিয়ে নেয় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ।
জানা যায়, নিজস্ব শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষককক্ষ ও অফিসকক্ষ ছাড়াই ২০১১ সালে আইন ও বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সাল থেকে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ৩৪০ নং কক্ষটি আইন ও বিচার বিভাগ শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এ হিসেবে শ্রেণিকক্ষটি আট বছর ধরে ব্যবহার করেছে বিভাগটি। এছাড়া বিভাগটির শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় ও ব্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৬ সাল হতে জহির রায়হান মিলনায়তনের দ্বিতীয় তলায় দুটি কক্ষ শ্রেণিকক্ষ হিসেবে অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করছে।
কিন্তু সোমবার ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একাডেমিক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩৪০ নং শ্রেণিকক্ষটি নিজেদের দাবি করে মঙ্গলবারের মধ্যে হস্তান্তর করতে আইন ও বিচার বিভাগকে চিঠি দেয়। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগের একাডেমিক সভায় কক্ষটি হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভার সিদ্ধান্তে স্বল্প সময়ে কক্ষটিকে হস্তান্তরের চিঠিকে অসম্মানজনক ও অবান্ধবসুলভ বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে কক্ষটি মঙ্গলবার আইন ও বিচার বিভাগ ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে।
উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের অভিযোগ, ‘ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ উপাচার্য বিরোধী হওয়ায় আইন ও বিচার বিভাগের কাছ থেকে স্বল্প নোটিশে শ্রেণিকক্ষটি নিয়ে নেয়। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি কে এম সাজ্জাদ মাহসীন বলেন, ‘পূর্বকালীন নোটিশ না দিয়ে স্বল্প সময়ে শ্রেণিকক্ষটি নিয়ে নেওয়ায় কক্ষ সংকটে আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে অসুবিধায় পড়বেন। অন্তত কয়েক মাস সময় দিয়ে চিঠি দেওয়া উচিৎ ছিল। এতে বিভাগের ছয়টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ সংকটে নিয়মিত ক্লাস করতে অসুবিধায় পড়বে।’
এ বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের বিভাগেও শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। ৩৪০নং কক্ষটিসহ তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও তিনটি ল্যাব কক্ষ রয়েছে। নতুন রুটিন করায় ওই কক্ষটি নিতে হয়েছে।’ একুশেটিভি