লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার যুবকের ৬১ বছরের কারাদণ্ড

খুনের দায়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার মাদক ব্যবসায়ীকে ৬১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত।

২০১৭ সালের ১৩ মে সংঘটিত টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্রমলি-বাই-বো এরিয়ার ব্রেন্টন রুপার হত্যা মামলার শুনানি শেষে একই এলাকার অ্যারো রোডের ড্রাগ ডিলার মোহাম্মদ সাঈদ ও তার সহযোগীদেরকে গত ১৩ জুলাই ওল্ড বেইলির বিচারিক আদালত দোষী সাব্যস্ত করেন। সোমবার (২৩ জুলাই) তাদেরকে মোট ৬১ বছরের সাজা দেন আদালত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদ সাঈদকে ৩০ বছর, মনজুর আহমদকে ৯ বছর, ফয়জুর রহমানকে ১০ বছর এবং শাহ হাবিবুর রহমানকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ব্রমলি বাই বো’র এগলিং ক্লোজের ৪১ বছর বয়স্ক ব্রেন্টন রুপার তার বাসার সামনে অবৈধ মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। মূলত এ কারণেই মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাঈদ ও তার সহযোগীরা ২০১৭ সালের ১৩ মে রুপারকে পেছন থেকে গুলি এবং উপর্যুপরি পাঁচ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর রুপারকে তার বাসার সামনের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা । খবর পেয়ে একঘণ্টার মধ্যে পুলিশ রুপারকে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে প্যারামেডিক এসে ঘণ্টাখানেক ধরে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে রুপার ঘটনাস্থলে মারা যান৷

পুলিশ জানায়, রুপা হত্যার সঙ্গে বো এলাকার অ্যারো রোডের মোহাম্মদ সাঈদ (২৭) , মাইল্যান্ডের মানজুর আহমাদ (২৭) , স্টেপনি গ্রিনের ফয়জুর রহমান (২৮) এবং ড্যাগেনহামের বাসিন্দা শাহ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (২৮) জড়িত।

জানা যায়, রুপা হত্যার পরদিন মোহাম্মদ সাঈদ ও শাহ হাবিবুর রহমান ব্রিটেনের বাইরে চলে যায়। তবে পুলিশ সাঈদ, মনজুর ও ফয়জুরকে ব্রেন্টন হত্যায় জড়িত সন্দেহে ২০১৭ সালের ২৪শ জুন গ্রেফতার করে। একই অভিযোগে শাহ হাবিবুর রহমানকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেফতার করা হয়। ব্রেন্টন রুপা হত্যার সঙ্গে গ্রেফতার এই চার ব্যক্তির জড়িত থাকার বিষয়টি পরে আদালতে প্রমাণিত হয়।

ইনভেস্টিগেশন অফিসার ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর ডেন রুপার হত্যাকে আবাসিক এলাকায় দিনের আলোতে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা এক নির্লজ্জ আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন।