মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে জেলেদের কাছ থেকে অবৈধভাবে মা ইলিশ কিনতে যাওয়ার অভিযোগে পুলিশের এএসআই ও দুই কন্সটেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ হাবিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের এএসআই ইয়ামিন মিয়া, কন্সটেবল সোহেল ও মোহাব্বত। এছাড়াও গাজীপুরের টঙ্গীতে হাইওয়ে পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আলমগীর হোসেনকে।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘২০ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে জেলেরা অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকার করেন। জেলেদের কাছ থেকে অবৈধভাবে মা ইলিশ কিনতে যাওয়ার অভিযোগে গজারিয়ার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের এই তিন সদস্যদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের ক্লোজ করা হয়। পরে গত ২৮ অক্টোবর রবিবার এএসআই ও দুই পুলিশ কন্সটেবলকে বরখাস্ত করা হয়। আর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেনকে বদলি করা হয়। সোমবার আমি দায়িত্ব বুঝে নিলে ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন গাজীপুর টঙ্গীতে সংযুক্ত হন।’
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় জেলেরা গজারিয়া থানার ওসির কাছে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
কিন্তু মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গজারিয়ার ওসি হারুন অর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না।’
তবে গাজীপুর হাইওয়ে জোনের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম এই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’