বিচার বিভাগের উপর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে আদালত বর্জন কর্মসূচী পালন করছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। কর্মসূচিতেও নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়েছে আপিল বিভাগের কার্যক্রম। কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সমিতি ভবন থেকে আদালত ভবনে প্রবেশের পথে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তবে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা অন্য আইনজীবীরা বিকল্প পথে আদালতে যাচ্ছেন।
আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে আদালত বর্জন কর্মসূচিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে সভাপতির কক্ষের সামনে গেইটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় ‘বর্জন চলছে চলবে’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বর্জন চলছে চলবে’ ইত্যাদি শ্লোগান দিচ্ছেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এক রায়ে হাইকোর্ট বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। এছাড়া ৫ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, জয়নুল আবেদীন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবীও। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার সময় তিনি ওই আদালতে ছিলেন না। এরপর দুপুর দেড়টার পর আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বার অ্যাসোসিয়েশন (সুপ্রিম কোর্ট বার) সিদ্ধান্ত নিয়েছি আদালতের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য। এ রকম একটা বেআইনি রায় দেওয়া হলো তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য বুধবার উভয় বিভাগে, আপিল বিভাগসহ সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করছি।’
তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচিতে কোনো রকম বাধা আসলে বাধা অতিক্রম করবো। যদি কোনো বাধার সৃষ্টি হয় পরবর্তীতে বিচার বিভাগকে সমুন্নত রাখার জন্য কঠিন কর্মসূচি দেবো।’