সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়টি বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে ঋণ ও বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়ার শর্ত সহজ করেছে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।
ইসি সচিব বলেন, এখন থেকে প্রার্থীদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে না। আগে সকল প্রার্থীর আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন তা বাধ্যতামূলক নয়। যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) আছে তারা দেবেন। আর যাদের নেই, তাদের দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সচিব বলেন, আমরা এটি বাধ্যতামূলক করার জন্য মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রস্তাবনা এসেছিল যে দেশের অনেক কৃষকও নির্বাচনে অংশ নেন। তারা আয়করের বাইরে রয়েছেন। তাই নির্বাচনে সকলের সুযোগ নিশ্চিত করতে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে।
ঋণখেলাপিদের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আগে নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ঋণখেলাপীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সাতদিন পূর্বে ঋণ পরিশোধের বিধান ছিল। এখন থেকে ঋণ পরিশোধ করেই প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ ভালো রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসী, মাদকসেবী যারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে পারে, তাদের গ্রেফতার করার জন্য।
কবে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয় নাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার সাতদিনের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনি প্রচারণা সামগ্রী ( পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন) সরিয়ে ফেলতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয় এবং শিক্ষকদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই যেন সব পরীক্ষা সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
আবার বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়া শিথিল করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।