বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

চিকিৎসা নিয়ে খালেদা জিয়ার রিটের আদেশ সোমবার

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও হাসপাতালে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার রিটের আদেশ আবারও পিছিয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (১৯ নভেম্বর) আদেশ দেয়া হবে।

আজ রোববার (১৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশের দিন পিছিয়ে এ নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর আদেশের জন্য রোববার (১৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

সে দিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

পরে আইনজীবী কায়সার কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, আজ আদেশর দিন ধার্য ছিল। এদিন আবেদনকারীর পক্ষে কিছু সম্পূরক কাগজপত্র দাখিল করা হয়। আদালত এ অবস্থায় রোববার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

অন্যদিকে মোখলেছুর রহমান জানান, হলফনামা আকারে সম্পূরক তথ্যাদি দাখিল করার জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময় চান। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রোববার আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর ৮ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে তাঁকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএসএমএমইউ বা বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে ১১ নভেম্বর রিটটি করেন খালেদা জিয়া। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে ১৩ নভেম্বর আদালত আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

এর আগে, বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে এর আগে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনটি গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা, পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের পর চিকিৎসার জন্য গত ৬ অক্টোবর তাঁকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি ওখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর ৮ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে তাঁকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।