জাল, জালিয়াতি ও প্রতারণা করে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আনীত তিন মামলার কার্যক্রম চলবে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন, আইনজীবী মো. মোগল মোল্লা ও মো. আবদুল বাতেন মোল্লা।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২০ জানুয়ারি) পূর্বের জারিকৃত রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম।
জানা গেছে, এর আগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় খিলগাঁও থানাধীন বরুয়া মৌজার থেকে ৩.৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে। পরে সেখান থেকে তিনজনকে ক্ষতিগ্রস্ত দেখিয়ে তিনটি চেকের মাধ্যমে অফিসের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ৮৮ লাখ ৪০ হাজার ১০১ টাকা আত্মসাৎ করেন দুই আইনজীবী মো. মোগল মোল্লা ও মো. আবদুল বাতেন মোল্লা। তিন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট খোলাসহ ভুয়া দলিলের মাধ্যমে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন ওই দুই আইনজীবী। পরে এ অভিযোগে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে মোট ৯ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০১৮ সালের ৯ মে অভিযোগ শুনানি শেষে এই দুই আসামিকে অব্যাহতি দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১। পরে সে অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করে। সে রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে অভিযুক্ত দুই আসামির বিরুদ্ধে মামলা চলার বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিন মামলা চলতে আর কোনও বাধা থাকলো না।