আদালত (প্রতীকী ছবি)
আদালত (প্রতীকী ছবি)

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় পুলিশ সদস্যের কারাদণ্ড

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় পুলিশের এএসআই আব্দুল আলিমকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নম্বর আদালতের বিচারক ফারজানা হাসনাত বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই রায় দেন।

এএসআই আব্দুল আলিম টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ঝুনকাই এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এএসআই পদে কর্মরত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৩ জানুয়ারি দেড় লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ঝুনকাই এলাকার মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে পুলিশ সদস্য আব্দুল আলিমের সঙ্গে একই উপজেলার মুশুরিয়া গ্রামের ছোরহাব আলীর মেয়ে মবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১৫ সালে ওই পুলিশ সদস্য আব্দুল আলিম তার স্ত্রী মবিনার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে মবিনা ও তার সন্তানকে মারধর করে পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই গোপনে কিশোরগঞ্জ থানার রাকসাইন গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে শাহনাজ পারভীন রুমাকে বিয়ে করে আব্দুল আলিম। এই ঘটনায় তার প্রথম স্ত্রী মবিনা আক্তার ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মুসলিম পারিবারিক আইনের ৬/৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত এবং শুনানি শেষে বিচারক আব্দুল আলিমকে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

তবে পরে তাকে আপিল করার শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বাদী পক্ষের মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা বার সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী গোলাম মোস্তফা মিয়া। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন হাসিমুল আক্তার।