বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা (ফাইল ছবি)
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা (ফাইল ছবি)

‘আমি ইচ্ছা করে আদালতে আসিনি, এটা ঠিক না’

নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে প্রবেশ করেই খালেদা জিয়া বললেন, ‘আমি প্রস্তুত ছিলাম, আমাকে আদালতে আনা হয়নি। অথচ বলা হয়েছে, আমি ইচ্ছা করে আদালতে আসিনি। সেটা ঠিক না।’

আজ রোববার (৩ মার্চ) নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে ১২টা ৩৪ মিনিটে আদালতে আনা হয় তাকে। এজলাসে ছিলেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। আদালতের কার্যক্রম শেষ হয় একটা ৪৮ মিনিটে। এরপর আবারও খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিন আদালতের ভেতরে খালেদা জিয়ার পাশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বসেছিলেন। এসময় তারা দুজনে কথা বলছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল— খালেদা জিয়া ঘুমাচ্ছেন। তিনি ঘুম থেকে উঠতে পারেননি বলে আদালতে হাজির করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন — বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদে, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।