রাজশাহী আইনজীবী সমিতিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের নিরঙ্কুশ জয়

রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছেন। নির্বাচনে মোট ২১টি পদের মধ্যে ২০টি পদই পেয়েছে সরকার সমর্থিত এই প্যানেল। শুধু সদস্য পদের একটিতে জয় পেয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল।

রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন কমিশনার শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম সেলিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গভীর রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য ছিলেন আব্দুস সালাম ও শামীম হায়দার দারা।

নির্বাচনে ঘোষিত ফল অনুযায়ী নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে অ্যাডভোকেট লোকমান আলী ও একরামুল হক। সভাপতি পদে লোকমান আলী ভোট পেয়েছেন ২৯১টি। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের অ্যাডভোকেট এনামুল হক পেয়েছেন ২৩৪ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে একরামুল হক ৩২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের আবুল হাসনাত বেগ পেয়েছেন ২১২ ভোট।

আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে বিজয়ী অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি সুনির্মল সাহা, সৈয়দা মর্জিনা খাতুন ও এন্তাজুল হক বাবু; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরাজী শওকত সালেহীন এলেন ও সাজেমান আলী; সম্পাদক (হিসাব) আখতারুল আলম বাবু, সম্পাদক (লাইব্রেরি) মোহাম্মদ আলী, সম্পাদক (অডিট) হেলাল আহমেদ, সম্পাদক (প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন) জালাল উদ্দীন ও সম্পাদক (ম্যাগাজিন অ্যান্ড কালচার) মমতাজ খানম।

এছাড়া এই প্যানেল থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন- আসির উদ্দীন, শফিকুল ইসলাম রেন্টু, আহসান হাবিব রঞ্জু, মিজানুর রহমান বাদশা, ইমাম হাসান, শেখ তোজাম্মেল আহমেদ, সাদিকুল ইসলাম ও সুমা খাতুন। এই প্যানেল থেকে শুধু সদস্য পদে গোলাম মাওলা পরাজিত হয়েছেন। এই একটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী মনোয়ারা বেগম বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক নির্বাচন শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং একটা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার বিরতি শেষে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে ৫৭৮ জন ভোটারের মধ্যে ৫৪১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটগ্রহণের জন্য ১ নম্বর বার ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২২টি বুথ স্থাপন করা হয়। নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে আলাদা দু’টি প্যানেলে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।