উচ্চ আদালত
উচ্চ আদালত

হাতকড়া পরানোর ক্ষমতা ইউএনওর আছে কী, প্রশ্ন হাইকোর্টের

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর হাতকড়া পড়ানোর ক্ষমতা আছে কি-না এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। আইন অমান্য করে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় বাহুবলের ইউএনও জসীম উদ্দিন আদালতে হাজিরা দিতে এলে এমন প্রশ্ন করেন হাইকোর্ট। এসময় আগামী ২৪ এপ্রিল তাকে আবারও উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

আদালত তাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, সরকারের এক বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে আরেক বিভাগের কর্মচারীর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে হবে। তা না হলে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

শুনানিতে ইউএনওর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, ভুল বোঝাবুঝির প্রেক্ষিতে এ ঘটনা ঘটেছিল। আদালত বলেন, ভুল বোঝাবুঝি ঠিক আছে, কিন্তু প্রকৌশলীকে হাতকড়া পরানোর ক্ষমতা ইউএনওর আছে কী?

এ সময় প্রকৌশলীর আইনজীবী সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, উনি পিয়ন হওয়ারও যোগ্য নয়। সে কী জমিদার? তাকে শাস্তি পেতে হবে। আদালত বলেন, সে তো হাতকড়া পড়াতে পারে না।

এর আগে গত ১৩ মার্চ আইন অমান্য করে বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হাতকড়া পরানোর অভিযোগে ওই উপজেলা ইউএনও জসীম উদ্দিনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া প্রকৌশলীকে হাতকড়া পরানো ও গ্রেফতার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

‘বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলীকে হাতকড়া পরানো ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী আইন ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় আদালতে অভিযুক্ত হওয়ার আগে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতারের বিধান নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. আবু জাকির সেকান্দার। অথচ আইন অমান্য করে ৬ মার্চ বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হাতকড়া পরান ইউএনও জসীম উদ্দিন। পরে ইউএনওর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলীরা। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট তাকে তলব করেন।