আইনজীবী রাইটার্স ফোরামের পক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন

ধর্ষকদের আইনি সহায়তা না দেয়ার শপথ

নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আইনি সহায়তা না দেয়ার জন্য শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। একই সঙ্গে নুসরাত, তনুসহ সারাদেশের যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনি সহযোগিতা করবে না বলে মানববন্ধনে শপথ নেন আইনজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চত্বরে বুধবার (১৭ এপ্রিল) আইনজীবী রাইটার্স ফোরামের পক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে এ শপথ করেন তারা।

অনুষ্ঠানে নুসরাতের ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকেও আসামি করার দাবি তোলেন আইনজীবীরা। তারা বলেন, এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িত আসামিদের রাজধানীর মুক্তমঞ্চে জনতার সামনে হত্যা করা হোক- যাতে এমন নির্মম আচরণ কোনো নারীর সঙ্গে করার সাহস না পায়।

আইনজীবীরা বলেন, আমরা নারী নির্যাতন আইনের সঠিক প্রয়োগ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি, আমার বোন, আমার মেয়ে নাতনিসহ পরবর্তী প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার জন্য। কারণ নারী নির্যাতন ইভটিজিং, যৌন হয়রানি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়। এমনকি নারীরা প্রথমে নিজের ঘর থেকেই নিগৃহীত হয়ে নির্যাতনের শিকার হয়।

নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার সঙ্গে সঙ্গে ওই থানার ওসি অভিযোগ না নিয়ে নুসরাতকে হয়রানি করেছিল তাকে মামলায় আসামি হিসেবে চার্জশিটভুক্তের দাবি তোলেন তারা।

আইনজীবীরা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নোটিশ করা ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি সিরাজ উদ দোলাকে সহযোগিতাকারী ওসির বিরুদ্ধে।

এই পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি তুলে আইনজীবীরা বলেন, দেশে বহু মেধাবী ভালো চরিত্রের শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের এই ওসির জায়গায় চাকরির ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি। এতে দেশে অপরাধীর সংখ্যা কমবে, তার মতো কুচক্রী ওসিও আর সরকারি চাকরিতে থাকবে না।

মানববন্ধনে নুসরাত, তনুসহ সারাদেশের যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিদের আইনি সহযোগিতা করবে না বলে শপথ নেন আইনজীবীরা। পাশাপাশি আইনের শাস্তির বিধান থাকলেও আসামিদের বিরুদ্ধে সঠিক ও কার্যকর শাস্তি না হওয়াই দেশজুড়ে তনু ও নুসরাতের মতো মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

মানববন্ধনে অ্যাডভোকেট সাহিদা বেগমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট কাজী সাজোয়ার হোসেন, সাবেক জেলা জজ বদরুল ইসলাম, সুরাইয়া বেগম, আঞ্জুমান আরা বেগম, রেবেকা সুলতানা ও আব্দুল খালেক।