দেশের গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার সময় চোখ এবং ডোপ (মাদক গ্রহণ করার) পরীক্ষা করাসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর মারা যাওয়া রাজীব হাসানের ক্ষতিপূরণের রুলের রায় ঘোষণার সময় আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এসব নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে-
- স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও ইউনির্ভাসিটিসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও সংরক্ষিত আবাসিক এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত গাড়ির হর্ন না বাজানো।
- রাজধানীজুড়ে যত্র-তত্র গাড়ি থামানো ও যাত্রী উঠানো নামানো যাবে না। বেপরোয়া গাড়ি চলছে কি না তা সিসিটিভির মাধ্যমে টিহ্নিত করা
- রাজধানী সড়কজুড়ে যেসব পরিবহন রয়েছে, তা একটি কোম্পানির অধীনে নিয়ে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাস্তায় পরিচালনা করতে হবে।
রায়ে রাজীবের পরিবারকে দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রায় ঘোষণার সময় রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কাজল, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু। অন্যদিকে বিআরটিসির পক্ষে ছিলেন মো. মনিরুজ্জামান।
রায়ে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ২৫ লাখ টাকা করে অর্থ দিতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, দুই বাসের রেষারেষির কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। কোনোভাবেই তারা দায় এড়াতে পারে না। তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই দুটি পরিবহন কর্তৃপক্ষ আপিল করবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৩ মে এই রুলের রায় ঘোষণার কথা ছিল। তবে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে ইন্স্যুরেন্স আইনে কিছু জটিলতা থাকায় ওইদিন আবারও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী তারিখ ২০ জুন নির্ধারণ করেন।
গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ানবাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব। এ ঘটনায় গত বছরের ৪ এপ্রিল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই বছরের ১৬ এপ্রিল মারা যান রাজীব।