প্রসাদ খাইয়ে মন্ত্র পাঠ করানো ইসকনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ

 

ইসকন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে প্রসাদ খাইয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠে বাধ্য করার অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস সংঘ (ইসকন) এবং এর চেয়ারম্যান, সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করা পিটিশন মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে বুধবার (২৪ জুলাই) এই পিটিশন মামলাটি করেন মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকার পরিচালক মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ (কুয়াকাটা)।

দণ্ডবিধির ৩৪ এর ২৯৫/ক ধারায় অভিযোগ এনে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দায়ের করা আবেদনটি আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলাটি খারিজ করে দেন।

আদালতের পেশকার শিশির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলার করা হয় তারা হলেন-ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস সংঘ (ইসকন), ইসকনের চেয়ারম্যান শ্রীমৎ ভক্তিচারু স্বামী, সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস চারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জগৎ গুরু গৌরাঙ্গ চন্দ্র ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম ইসকনের শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ লিলারাজ গৌরদাস ব্রহ্মচারী, বিভাগীয় রিজিওনাল সেক্রেটারি শ্রী পাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, সাধারণ সম্পাদক শ্রী পাদ দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম ইসকনের ফুড ফর লাইফের পরিচালক পাণ্ডপ গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, পরমেশ্বর পরমাত্মা দাস ও দারু ব্রহ্ম জগন্নাথ দাস।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৮ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই স্কুল চলাকালীন চট্টগ্রামে ৩০ স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে রাম কৃষ্ণ দেবতার নামে উৎসর্গকৃত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে খাওয়ার সময়ে তাদের ‘হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম রাম রাম হরে হরে’-এই মন্ত্র পাঠে বাধ্য করানো হয়। অথচ কোমলমতি শিশুদের অধিকাংশই মুসলমান।

আসামিরা জেনেশুনে ও বুঝে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এক আল্লাহর পরিবর্তে তাদের দেবতার নামে উৎসর্গকৃত খাদ্য ভক্ষণ করায়। দেব-দেবীর নাম উচ্চারণে ‘হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম রাম রাম হরে হরে’ শ্লোক পাঠে বাধ্য করানো হয়।

আসামিদের এসব কর্মকাণ্ড ‘পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করার মতো’ উস্কানিমূলক। বাদীসহ কোটি কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে গুরুতর আঘাত। ফলে বাদী বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হয়ে ন্যায়বিচার প্রার্থনায় মামলা দায়ের করতে বাধ্য হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।