মাদকের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানসহ তিন জনের প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য আসামিরা হলো— রোমান ও আখতারুজ্জামান।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম আসামি সেলিম প্রধানসহ তিন জনকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে তিনি গ্রেফতারের আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক ধীমান চন্দ্র মণ্ডল গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জু করেন। এরপর রিমান্ডের শুনানি শুরু হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান রিমান্ডের জোর দাবি জানান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যককে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখার পুলিশ কনস্টেবল ময়েজ আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গুলশান থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম পরিদর্শক (অপারেশন) মাদক আইনে সেলিম প্রধানসহ তিনজনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আজকের (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেন মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক।
গত ১ অক্টোবর বাড়িতে হরিণের দুটি চামড়া রাখার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সেলিম প্রধানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র্যাব-১।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বেশ কিছু নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশের পর পরই ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দুটিতে রদবদল আসে। এর তিন দিন পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ক্লাব পাড়ায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর ধানমন্ডি, কলাবাগানসহ উত্তরা, গুলশান, তেজগাঁওয়ের বেশ কিছু ক্লাবে একই ধরনের অভিযান চালায় পুলিশ ও র্যাব। এসব অভিযানে ক্যাসিনো সামগ্রীসহ প্রচুর পরিমাণে মদ ও অবৈধ অর্থ উদ্ধার করা হয়। অভিযানগুলোতে যুবলীগের কয়েকজন নেতাসহ বেশ কিছু ক্লাবের সংগঠককে ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আটক হয়েছে অনলাইন ক্যাসিনোর বাংলাদেশ প্রধান হিসেবে অভিযুক্ত সেলিম প্রধান।