নগর ভবনের সামনে ধুলা দূষণ নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসি’র পানি ছিটানোর বিশেষ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে বক্তব্য দিচ্ছেন মেয়র সাঈদ খোকন

ধুলা দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত

ধুলা দূষণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পাশাপাশি সংস্থাটির প্রধান প্রধান সড়কে সকাল-বিকাল পানি ছিটানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগর ভবনের সামনে ধুলা দূষণ নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসি’র পানি ছিটানোর বিশেষ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে মেয়র সাঈদ খোকন এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘ধুলা দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ব্যবস্থাপনা আছে, সেটি সীমিত। মূলত এ দায়িত্ব পালন করে পরিবেশ অধিদফতর। কিন্তু নাগরিক দায়িত্বকে সম্মান জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বরাবর এ কাজগুলো করে থাকে। আমরা আজ একটা বিশেষ প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছি। এর আওতায় আমাদের যেসব প্রাইমারি সড়ক রয়েছে, তাতে সকালে এবং বিকালে দুই বেলা পানি ছিটিয়ে বায়ু দূষণ রোধের চেষ্টা করবো।’

সাঈদ খোকন বলেন, ‘আপনারা জানেন, বর্তমানে আমাদের শহরে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। পাশাপাশি ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের কাজও ধূলি দূষণের কিছুটা উৎস হিসেবে পরিণত হয়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো দূষণের জন্য অনেকটা কাজ করে থাকে। এ কারণে আমরা অনেক সমস্যায় পড়ি। আমরা আশা করি, যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে, এই কাজগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার পর বায়ু দূষণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নাগরিকদের যে দুর্ভোগ হচ্ছে, এজন্য আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। উন্নয়নের জন্য সাময়িক দুর্ভোগ জনগণ সহজভাবে মেনে নেবেন বলে আমরা আশা করি।’

তিনি বলেন, ‘এই কর্মসূচির আওতায় সকাল ৬টা থেকে ৮টা ৩০ মিনিট এবং বিকালে নির্দিষ্ট সময়ে পানি ছিটানো হবে। এই কর্মসূচির আওতায় যেসব স্থানে কন্সট্রাকশন চলছে, সেখানে যদি সঠিকভাবে কাজ না হয়, বা যেখানে সেখানে যদি মাটি পড়ে থাকে, তাহলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো। যেকোনও নির্মাণ কাজ সঠিক ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে করতে হবে।’

সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, বড় বড় প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। এসব কাজের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ অনেকটা কষ্টকর। তারপরেও অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় একেবারে যত্রতত্র কাজ করা আমরা অ্যালাউ করবো না। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা সেসব কাজ নিয়ন্ত্রণে আনবো।’