স্ত্রী উদ্ধারে স্বামীর রিট খারিজ
সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ

মণিরামপুরের সাবেক ওসি ছয়রুদ্দিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর দায়ের করা মামলায় যশোরের মণিরামপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছয়রুদ্দিন আহমেদকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ওসির অব্যাহতির আদেশ বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন আদালত।

আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন একেএম ফারহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

গত বছরের ৩ জুলাই যশোর স্পেশাল জজ (জেলা জজ) তাকে চার্জ শুনানির সময় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। সেই অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন মামলা দায়ের করে দুদক।

জানা গেছে, যশোরের মনিরামপুর থানার নেহালপুর মৌজায় জনৈক প্রভাষ চন্দ্র ঘোষ ধান চাষ করেন। সেই জমিতে বিরোধ দেখা দিলে মো. ছয়রুদ্দিন আহমেদের হুকুমে প্রভাষ চন্দ্র ঘোষের ৫ একর জমির মধ্য থেকে ৫ বিঘা জমির ৬১ মণ ৫০০ কেজি ধান কেটে নিয়ে নেহালপুর বাজারে হাটচান্দিতে মাড়াই করিয়া গোডাউন ভাড়া করে রাখেন।

পরে ওই ধান আদালতের কোন অনুমতি না নিয়ে কোনরূপ নিলাম না ডেকে নিজের ইচ্ছামত ৪১ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করেন। প্রভাষ চন্দ্রের অভিযোগ ওই ধান ও পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে ছয়রুদ্দিন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। বাদী নিরুপায় হয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। পরে ছয়রুদ্দিন প্রভাষকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা দেন।

এ ঘটনায় প্রভাষ চন্দ্র ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন।