তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলার বিচারের জন্য দেশে একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর শুরু হয়। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ষষ্ঠতলায় এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের সঙ্গে কক্ষ ভাগাভাগি করে চলতো বিচারকাজ। এর ছয় বছরেরও বেশি সময় পর আলাদা এজলাস ও সেরেস্তায় শুরু হয়েছে এই আদালতের কার্যক্রম।
এতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কক্ষ ভাগাভাগি করায় দুপুর ২টার আগে এই আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু করা যেতো না। মামলার নথিপত্র রাখার ক্ষেত্রেও ছিল ভোগান্তি। সেখান থেকে এখন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পুরাতন ভবনের ছয়তলায় নতুনভাবে নির্মিত কক্ষে এজলাস স্থানান্তর হয়েছে। নথিপত্র রাখার জন্য সেরেস্তা কক্ষও রয়েছে।
নতুন কক্ষে রোববারই শুরু হয়েছে বিচারকাজ। এখন প্রতিদিন অন্য আদালতগুলোর মতোই সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে বিচারিক কার্যক্রম। এ উপলক্ষে রোববার (৯ জানুয়ারি) এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ, সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জুগলুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বিচারক ও আদালত সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আলাদা কক্ষে এজলাস ও সেরেস্তার কাজ শুরু হওয়ায় বিচারক, আদালতের কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই আদালতের পিপি নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আলাদা এজলাস আমরা পেয়েছি। এখনও কিছু আসবাবপত্র লাগবে। আশা করছি আসবাবপত্রগুলো দ্রুতই সরকার ব্যবস্থা করবেন। নতুন কক্ষে এজলাস ও সেরেস্তা স্থানান্তরের মাধ্যমে বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে এবং মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে আমরা আশাবাদী।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বলেন, অন্য আদালতের সঙ্গে এজলাস ভাগাভাগি করে কাজ করতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। দুপুরের আগে বিচারকাজ শুরুই হতো না। এভাবে মামলার নথিপত্র সংরক্ষণ করাও বেশ কষ্টকর ছিল। সারা দেশ থেকে আসা বিচারপ্রার্থীদেরই এতে অনেক ভোগান্তি হতো। আশা করছি নতুন এজলাস ও সেরেস্তায় আদালতের কার্যক্রম স্থানান্তরের মাধ্যমে সব ভোগান্তির অবসান হবে।
সারা দেশে সাইবার অপরাধের বিচারের জন্য এই একটি মাত্র ট্রাইব্যুনালই রয়েছে। দেশের সাতটি বিভাগে একটি করে সাইবার ট্রাইব্যুনালের দ্রুতই কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।