দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি বন্দী রয়েছেন। জাতীয় সংসদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ তথ্য দেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
সরকারি দলের সংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কারাগারে বন্দী ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪ জন। কারাবন্দীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪। কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার নবনির্মিত পাঁচটি কারাগারকে কারাগার-১ এবং পুরোনো কারাগারকে কারাগার-২ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া নতুন কারাগার নির্মাণ এবং পুরোনো কারাগার সম্প্রসারণ বা নতুন ভবন তৈরি করেও বন্দী ধারণক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ ভৌগোলিক কারণে মাদকের কবলে
সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৯ সালে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৫২ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৮১টি মামলা করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হলেও ভৌগোলিক কারণে মাদক সমস্যার কবলে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমাদের দেশে অবৈধ মাদক প্রবেশ করে। আলোচিত ইয়াবা প্রবেশ করে মিয়ানমার থেকে। আর ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ প্রবেশ করে।’
আইসিজে রায় বাস্তবায়ন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে
জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় বাস্তবায়িত হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হবে এবং রাখাইন নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফলে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিজেদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে আস্থা জোগাবে।