৩৯ তম বিসিএস (বিশেষ) সুপারিশকৃত ৩৮ জন প্রার্থীকে কেন নিয়োগ প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল আল মাহমুদ বাশার ও এএজি সাইফুল আলম।
পরে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, ৩৯ তম বিসিএস (বিশেষ) এ পিএসসি সবমোর্ট ৪৭৯২ জন প্রাথীকে সুপারিশ করে কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিগত ১৮/১১/২০১৯, ০৮/১২/২০১৯ ও ২০/০১/২০২০ ইং তারিখে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৪৬২৯ জন প্রার্থীকে সহকারি সার্জন ও সহকারি ডেন্টাল সার্জন পদে নিয়োগ প্রদান করলেও রীট আবেদনকারী ৩৮ জনকে অদ্যবধি নিয়োগ প্রদান করা হয়নি।
ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া আরও বলেন, উক্ত প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে এবং সুপারিশকৃতদের সহকারি সার্জন ও সহকারি ডেন্টাল সার্জন পদে নিয়োগের প্রার্থনা করে রীট পিটিশন দুটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
এর আগে, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং সুপারিশকৃত পদে নিয়োগের প্রার্থনা করে মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, রাকিবুল আলম, আসিক ইকবাল, ফারজানা নাজনিন মৌ, আনিকা তাবাসুম ইসপিতা, কাউসার আহমে, সাদিয়া আফরিন, মোঃ নাহিদ আজম পরাগ, শায়লা আকতার, মোহাম্মদ আলী আফতার, মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, হোসনেয়ারা সোনিয়াসহ ৩৯ তম বিসিএসে (বিশেষ) সুপারিশকৃত সর্বমোট ৩৮ জন প্রার্থী হাইকোর্টে দুটি রিট করেন।