আনসার বিদ্রোহ: খালাসপ্রাপ্তদের চাকরিতে পুনর্বহাল নিয়ে রায় ২ আগস্ট
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত

আদালত অঙ্গন থেকে টাউট-দালাল নির্মূলে হাইকোর্টে রিট

টাউট, দালাল, ভুয়া আইনজীবী, মুহুরি, ক্লার্ক এবং আইনজীবী সহকারীরা যেন বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে বেআইনিভাবে মামলা গ্রহণ করতে না পারে এবং আদালত অঙ্গনে এদের অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বার কাউন্সিল সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে আদালত অঙ্গন থেকে টাউট-দালাল নির্মূলে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে তা জানতে দেশের প্রতিটি আইনজীবী সমিতিতে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত অঙ্গনে টাউট-দালাল কর্তৃক বিচারপ্রার্থীরা যেন প্রতারিত না হন, সে বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২ এর ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে বার কাউন্সিল সনদ প্রাপ্ত হতে হবে। অন্যথায় ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বার কাউন্সিল এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আদালত অঙ্গনে টাউট-দালাল দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে।

রিট আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রিটকারী আইনজীবী আরও জানান, গত বছরের ২ ডিসেম্বর বার কাউন্সিল বরাবর এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে একটি নিবেদনপত্র প্রেরণ করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আজ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।