৩৭ তম বিসিএসে সুপারিশকৃত ১১ জনকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না তা, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এবং তাকে সহযোগীতা করেন আইনজীবী মোঃ মনিরুল ইসলাম রাহুল। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
পরে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে রুলের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ৩৭ তম বিসিএস এ পিএসসি সবমোর্ট ১৩১৪ জন প্রাথীকে সুপারিশ করে কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিগত ২০/০৩/২০১৯, ১৭/০৪/২০১৯, ০৫/০৫/২০১৯, ৩০/০৫/২০১৯, ১৬/০৭/২০১৯ ও ২৯/০৭/২০১৯ ইং তারিখে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১২৪৮ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদান করলেও রিট আবেদনকারী ১১ জনকে অদ্যবধি নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। এজন্য ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে এবং সুপারিশকৃতদের বিভিন্ন পদে নিয়োগের প্রার্থনা করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে, ৩৭ তম বিসিএস এ সুপারিশকৃত ১১ জন প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশকৃত পদে নিয়োগের প্রার্থনা করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। রিটকারীরা হলেন- মোসাঃ আফরোনা খাতুন, খোকন চন্দ্র দাস, মাহবুব সোবহান, আতিয়া তামান্না, জান্নাতুল নাইম, খালেদা আক্তার, এস. এম. ইয়াসির আরাফাত, সাদ সুলতান, প্যারগনা লাবনী বিনতে আলম, মৌমিতা জামান খান, এস. এম. জোবাইর হোসাইন।