মিথ্যা মামলা করায় বাদীক আর্থিক দণ্ড দিয়েছেন নোয়াখালীর একটি আদালত। কোম্পানিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শেখ মোঃ মুহিব্বুল্লাহ এই আদেশ দেন।
আদেশে মামলার বাদী মোঃ সেলিমকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮ এর ধারা ৩৫ক এর অধীনে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দেওয়ানী মামলা করার জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়– চুক্তি প্রবলক্রমে ছাপ কবলা পাবার প্রার্থনায় করা এই মামলায় বাদী মামলার রায়ের তারিখ পর্যন্ত কোন বায়না চুক্তি পত্র আদালতে দাখিল করতে পারেন নি। এভাবে তিনি ৬ বছর মামলা চালিয়ে আসছেন। পরে আদালত মামলাটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে মোঃ সেলিমকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আদালতের রায়ে বিবাদী মোঃ মোফিজুল আলম সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
প্রসঙ্গত, দেওয়ানী মামলায় উকিল নিয়োগ, কাগজপত্র সংগ্রহ এবং আদালতে হাজিরা বাবদ বিবাদীকে অনেক অর্থ খরচ করতে হয়। কিন্তু দিন শেষে মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে বিবাদীর আর পাওয়ার কিছু থাকেনা। সাধারণত ফৌজদারি আদালতে মিথ্যা মামলা করার শাস্তি স্বরূপ প্রায়ই জেল-জরিমানা হয়, দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ খুবই কম; কিন্তু দেওয়ানী আদালতে হয়রানি করার জন্য কেউ মিথ্যা মামলা করলে তারও সমপরিমান শাস্তি হওয়া উচিত বলে দাবী করেন বিচারপ্রার্থীরা। আদালতের এমন কঠোর পদক্ষেপে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আদালতের সময় অপচয় এবং বিবাদী পক্ষের হয়রানি বন্ধ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।