বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

দেওয়ানি মামলা ও ফৌজদারি মামলায় রিমান্ড শুনানি বিষয়ে প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি

নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের (এনআই অ্যাক্ট) অধীন মামলা করাসহ যেসব দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা/আপিল করার ক্ষেত্রে আইনে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে এবং যেসব মামলা বা আপিল করার ক্ষেত্রে লিমিটেশন অ্যাক্টের ৫ ধারার বিধান প্রযোজ্য নয়, সেসব মামলা বা আপিলের ফাইলিং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ করা যাবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য রয়েছে।

‘ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিশেষ কিছু দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা/আপিল দায়ের এবং ফৌজদারি মামলায় রিমান্ড শুনানি সম্পর্কিত অতিরিক্ত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’–বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশতি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০–এর ৫ ধারার ক্ষমতাবলে এবং করোনাভাইরাস রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এবং শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বিচারকার্য পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আগের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের গত ১০ মের বিজ্ঞপ্তিমূলে (বিজ্ঞপ্তি নম্বর-২১৪এ) প্রচারিত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনায় ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করলেন।

প্র্যাকটিস নির্দেশনায় বলা হয়, ১৯৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের অধীন মামলা দায়েরসহ যেসব দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা দায়ের/আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে আইনে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে এবং যেসব মামলা বা আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ১৯০৮ সালের লিমিটেশন অ্যাক্টের ৫ ধারার বিধান প্রযোজ্য নয়, সেসব মামলা বা আপিলের ফাইলিং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে গ্রহণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট তা গ্রহণ করে শুনানি/ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারার অধীন জবানবন্দি গ্রহণের জন্য উপযুক্ত সময়ে একটি তারিখ নির্ধারণ করবেন।

অপর নির্দেশনার ভাষ্য, ফৌজদারি কোনো মামলার আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলখানায় ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের লিংক পাঠিয়ে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে স্বচক্ষে দেখে শুনানি করা সম্ভব হলে রিমান্ড শুনানি করা যাবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।