ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে জারি করা অধ্যাদেশটি আইন হিসেবে জারি করতে সংসদে বিল তোলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বিল-২০২০’ সংসদে তোলেন।
পরে বিলটি পাঁচ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংসদে উত্থাপিত বিলে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, অডিও-ভিডিও বা অনুরূপ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির আদালতে বিচার বিভাগীয় কার্যধারায় উপস্থিত থাকা ও অংশগ্রহণ।
মামলার বিচার (trial), বিচারিক অনুসন্ধান (inquiry), বা দরখাস্ত বা আপীল শুনানি, বা সাক্ষ্য (evidence) গ্রহণ, বা যুক্তিতর্ক (argument) গ্রহণ, বা আদেশ (order) বা রায় (judgment) প্রদান করা যাবে এই আইনের আওতায়।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে গত ৭ মে মন্ত্রিসভা এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়ায় অনুমোদন দেয়ার পর তার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল আদালতের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির পর তা সংসদে তোলা হয় গত ১০ জুন। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে হলে চলমান অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়কে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে অনুমোদন করাতে হবে। ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা লোপ পাবে।