গরীব ও অসহায়দের পক্ষে মামলা পরিচালনার শর্তে দণ্ডিত আইনজীবী প্রবেশনে মুক্ত
আইনজীবী (প্রতীকী ছবি)

হাইকোর্ট এবং অধস্তন আদালতে আইনজীবীদের আপাতত যে পোশাক পরতে হবে

দীর্ঘ চার মাস পর গত বুধবার (৫ আগস্ট) থেকে অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। আর আজ বুধবার (১২ আগস্ট) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে হাইকোর্টের ১৮টি বেঞ্চে। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মানতে হবে কিছু বিধি-নিষেধ। এ বিষয়ে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ কল্পে এবং বিচারক, আইনজীবী, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক। কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ কল্পে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুরক্ষামূলক নির্দেশনাসমূহ সকলের অবশ্যপালনীয়। আদালত প্রাঙ্গণে সকলের সুরক্ষার জন্য উক্ত নির্দেশনার পাশাপাশি কয়েকটি নির্দেশনা সকলকে অবশ্যই যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।

অধস্তন আদালতের নির্দেশনাগুলোর মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে বিচারক ও আইনজীবীদের সাদা শার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগেও বিচারপতি এবং আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে পরিধেয় পোশাক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তের আলোকে করোনা ভাইরাস রোগের (কোভিড-১৯) সংক্রমণজনিত বর্তমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন।

এছাড়া ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীগণ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানিকালীন ক্ষেত্রমত টার্নড আপ সাদা কলার ও সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট/শাড়ী বা সালোয়ার কামিজ পরিধান করবেন’ বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।