রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম (ফাইল ছবি)
রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম (ফাইল ছবি)

অস্ত্র মামলায় সাহেদের বিচার শুরু

অস্ত্র আইনে করা মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

এ দিন সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাকে অভিযোগ পড়ে শোনালে সাহেদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট একই আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ঠিক করেন।

গত ৩০ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. শায়রুল। এরপর ১৩ আগস্ট মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত।

অভিযোগপত্র দাখিলের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, সাহেদ যখন আমাদের কাছে রিমান্ডে ছিলেন, তখন তার ভাষ্যমতে, তার ব্যবহার করা গাড়িটি আমরা জব্দ করি এবং গাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করি। আমরা তদন্তে অভিযোগপত্র ও মামলার ডকেটে (মামলার নথিপত্র) সব উপস্থাপন করেছি। এ ধরনের মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য-প্রমাণাদি দরকার হয়, আমরা সবকিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবেন।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব।

অভিযানে করোনা ভাইরাসের ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।