কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সালাহউদ্দিন

কুমিল্লার সাবেক ওসি সালাহউদ্দিনকে আদালতের একমাসের আল্টিমেটাম

স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক মামলা আপোষ-মীমাংসার শর্তে জামিনে থাকা কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) জামিনের মেয়াদ একমাস বৃদ্ধি করেছে কুমিল্লার একটি আদালত। তবে এই একমাসের মধ্যেই আসামিকে মামলাটি আপোষ করতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার (১৩ আগস্ট) আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০১ এর বিচারক এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০১ আদালতে ওসির বিরুদ্ধে তার স্ত্রী শামছুন্নাহার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় দায়ের করেন। মোকদ্দমায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের পর অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে স্ত্রীর সাথে আপোষসহ একটি পুত্র (১১) ও একটি কন্যা সন্তান (০৬) এর ভরণপোষণ প্রদানের শর্তে কুমিল্লার সাবেক ওসি আসামি সালাহউদ্দিন কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল থেকে জামিন লাভ করেন।

পরবর্তীতে ওসি সালাহউদ্দিন জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় তার স্ত্রী আসামির জামিন বাতিলে আদালতে দরখাস্ত দাখিল করেন।

আসামির জামিন বাতিলের দরখাস্ত শুনানির সময় মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হোসাইনী ও অ্যাডভোকেট মাহমুদা খানম শিল্পী আদালকে জানান, আসামি সালাহউদ্দিন যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রীকে মারধর করার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়। আসামি সবসময় বাদীর সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে, মোকদ্দমাটি আপোষ করার কথা থাকলেও জামিনে যাওয়ার পর আর স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ-খবর নেয় নাই, তার ঔরসজাত দুইটি সন্তানের ভরণপোষণ এমনকি লেখাপড়ার খরচও প্রদান করে নাই, বরং তার ক্ষমতা ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে স্ত্রী-সন্তানদের ভাড়া করা বাসা থেকে বের করে দেয়াসহ মামলার বাদী ও সাক্ষীদের নিয়মিত হুমকি প্রদান করে।

পরবর্তীতে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোকদ্দমাটি মীমাংসার জন্য আদালতের নিকট শেষবারের মতো সময়ের প্রার্থনা করেন। আদালত সবকিছু বিবেচনা করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আসামিকে আদালতে চলমান মামলাটি আপোষ-মীমাংসার জন্য একমাসের সময় প্রদান করেন এবং মোকদ্দমার আপোষ-মীমাংসাসহ সন্তানদের নিয়মিত ভরনপোষণ প্রদানের শর্তে জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করেন।