সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিন (৩৪) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। তবে মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় রোববার (১১ অক্টোবর) রাতে তিনি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, কে বা কারা রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে হত্যা করেছেন। এজাহারে রায়হান বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে যে মুঠোফোন নম্বর দিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, সেই নম্বরটিও উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মিত্র গণমাধ্যমকে মামলা দায়েরের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, রাতে লিখিত এজাহার দাখিল করা হলে সকালে সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। মামলায় এজাহার নামীয় কোনো আসামি নেই।
রায়হানের পরিবারের ভাষ্য, নগরীর নিহারীপাড়ার বাসিন্দা রায়হান রিকাবিবাজার এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন। গত শনিবার রাতে বাসায় না ফেরায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। রোববার ভোরে রায়হানের পরিবারের সদস্যদের কাছে বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে ফোনে জানানো হয়, রায়হান পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে হলে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। তাঁরা এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে যান। তবে গিয়ে জানতে পারেন, রায়হান মারা গেছেন। পরে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে রায়হানের পরিবারকে জানানো হয়, নগরীর কাস্টঘর এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধরা পড়ে গণপিটুনিতে রায়হান আহত হন। পরে তিনি মারা যান।
তবে রায়হানের পরিবার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, কাস্টঘর এলাকায় কোনো ছিনতাই বা গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর অভিযোগ তোলা হয়।