দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরির অভিযোগে করা মামলায় ২২ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৩০ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম জানান, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৩০ কোটি টাকার বেশি।
এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।
এ মামলায় ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর ১৯ জন এবং ১৪ নভেম্বর দিনাজপুর বিশেষ জজ আদালত থেকে জামিন পাওয়া ৩ জনের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদন করা হয়েছে। এখানে আবেদন করতে ৬২ দিন দেরি হয়েছে। হাইকোর্ট সেটি মার্জনা (ডিলেই কনডোন) করে তাদের জামিন বাতিলে রুল জারি করেছেন।
এ মামলায় অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছে তারা হলেন- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের সাবেক এমডি মাহবুবুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশীদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ।
এছাড়া সাবেক মহাব্যবস্থাপক শরিফুল আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্ত্র নাথ বর্মন, মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক জোবায়ের আলী।