একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকারদের তালিকা তৈরির বিধান রেখে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিজয়ের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজাকার বাহিনী ও অন্যান্য আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের ও দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তাদের তালিকা তৈরি করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। কাউন্সিল তালিকা তৈরি করে সরকারের কাছে তুলে দিয়ে প্রকাশের সুপারিশ করবে।
তিনি জানান, যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকছে প্রস্তাবিত এ আইনে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রচলিত আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির বিধান থাকলেও রাজাকারদের তালিকা তৈরি বা তা প্রকাশের কোনও বিধান ছিলনা। যার কারণে সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় রাজাকার ও আদলবদরদের তালিকা তৈরির বিধানটি যুক্ত করার পাশাপাশি আরও কিছু সংশোধনীসহ আইনটির নীতিগত অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিসভা থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে জাতীয় সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে আইনটি সংসদে তোলা হবে। ওই অধিবেশনেই এটি পাস করে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর (২০২১ সালের ২৬ মার্চ) বছরের শুরুর সময় আংশিক হলেও রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।